সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রোবট কি একদিন মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? – আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ব্ল্যাক-বক্স লার্নিং

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো বাংলা করলে দাঁড়ায়, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্তিমভাবে বানানো আপনার হাতের বুদ্ধিভিত্তিক স্মার্টফোনই বলেন কিংবা চালকবিহীন গাড়ির কথাই বলেন, অফিসিয়ালি আমরা বর্তমানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগে বাস করছি। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় রোবটের কথা চিন্তা করলে আমাদের মাথায় সর্বপ্রথম আসে হলিউডে বানানো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার কথা, যেখানে রোবট একসময় মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আসলে কি হতে যাচ্ছে? আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি তাহলে রোবট দ্বারা পরিচালিত হবে? ইত্যাদি বিষয়াদিসহ এই লেখায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও এর ‘ব্ল্যাক-বক্স’ এবং এর সাথে সম্পর্কীত মূল ধারণা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া - যার মাধ্যমে একটি সিস্টেমকে আশেপাশের তথ্য সংগ্রহ করে তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শুরুতেই জানিয়ে রাখি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে গবেষণা নতুন কিছু নয়। সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটিং এর ধারণা দেয়া হয়েছিলো সেই ১৯৫০ সালে। তারপর থেকে গবেষকরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, একটা মেশিনকে কিভাবে কৃত্তিম বুদ
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

রহস্যময় রাস্তা | যে পথ আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে উপরের দিকে | গ্র্যাভিটি রোডস (Gravity Roads)

এটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে, অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে আমাদের সবাইকে টানছে । এই বলের প্রভাবে সব বস্তুই উপর থেকে ভূপৃষ্টের দিকে পড়ে । এই বলের প্রভাবেই পানি নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ে, উপরের দিকে একটা ক্রিকেট বল ছুঁড়ে দিলে তা নিচে ফিরে আসে । দক্ষিন অস্ট্রেলিয়ার একটি 'গ্র্যাভিটি হিল' । ছবি - উইকিপিডিয়া ।

জাপানের আত্মহত্যার বন | ভয়ংকর সুন্দর - যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১০০টি মৃতদেহ পাওয়া যায়

জাপানের আওকিগাহারা বন (Aokigahara) মৃত্যূর জন্য একেবারে নির্জনতম স্থান । জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজির পাদদেশে অবস্থিত এই বনটি পুরো এলাকার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা । কিন্তু, এই বনের গাছ-গাছালি এতই ঘন যে খুব সহজেই আপনি এখানে হারিয়ে যেতে পারবেন । প্রতি বছর এখানকার কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করে, আর বাকি মৃতদেহগুলো অনাবিষ্কৃত থেকে যায় বছরের পর বছর । ঠিক কি কারনে মানুষ আত্মহত্যার জন্য এই বন বেছে নেয় তা এখনো রহস্যের মতো । ধারনা করা হয় যে, কোন এক উপন্যাসের নায়ক প্রথম এই বনকে বেছে নেয় আত্মহত্যার জন্যে । উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই বন আত্মহত্যার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ।

বাংলাদেশী লজিক : "কাপড় ঠিক নাই? তাইলে ঐ মাইয়ারে ধর্ষন কর" - ১ (এক)

কিছুক্ষন আগে বিবিসি বাংলার একটা ফেসবুক পোস্ট দেখলাম । এটি একটি ছবি, যার ক্যাপশনে লেখা- "মঙ্গলবার ঝুম বৃষ্টির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে এক কিশোরী" । ছবিটিতে মেয়েটির চেহারা স্পষ্ট বুঝা না গেলেও, এতটুকু বুঝা যাচ্ছে যে ঝুম বৃষ্টি পড়ছে আর মেয়েটি রেইনকোট পরে- সাইকেল চালিয়ে- বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোথাও যাচ্ছে । মেয়েটি কি ঘুরতে বেরিয়েছে, নাকি কোন কাজে বেরিয়েছে তা এই ছবিতে স্পষ্ট নয় । ছবিটির লিঙ্ক (যদি এরই মধ্য ডিলিট না করে থাকে) পোস্টটিতে ক্লিক করে কমেন্ট বক্স স্ক্রল করতে করতে আমি হতবাক হয়ে গেলাম । যখন দেখলাম একজন ব্যক্তি কমেন্ট করেছে, "এদের কে কুকুরে খাবে না তো কে খাবে" । আবার আরেকজন দেখলাম আরো একধাপ এগিয়ে কমেন্ট করলো, "ঐ জন্যই তো ওখানে ভুমিকম্প হয়" । তখন মনে পড়লো পাকিস্তানের একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের প্রধান (আমি বুঝলাম না, সবাই তাকে "ধর্মীয় গুরু" বলছে কেন!) মাওলানা ফজলুর রেহমান নাকি কিছুদিন আগে "ভুমিকম্পের একমাত্র কারন" হিসেবে "মেয়েদের জিন্স পড়া"-কে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন । এই বক্তব্যে

বাংলাদেশের রগরগে শিরোনামের অনলাইন নিউজ এবং আপনার একটি ক্লিকের অপেক্ষা

আমি অবাক হয়ে যাই যখন দেখি বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ "ফেসবুকিং" বোঝে, কিন্তু "গুগলিং" বোঝে না! আমি আরো অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি "নিউজ সার্চ" করতে বললে কেউ কেউ আবার ফেসবুকে লগ-ইন করে "নিউজ" দেখে! একদিন ইউটিউবে সার্চ দিলাম "তালাশ" লিখে... "সার্চ" করার পর আসা "রেসাল্ট" থেকে একটা ভিডিও ক্লিক করলাম । ঐ ভিডিও দেখতে দেখতে পাশের "সিমিলার রেজাল্ট" গুলোতে চোখ বুলালাম । এরমধ্যে কয়েকটা শিরোনাম হলো- - এখন নায়িকা হ্যাপি ক্রিকেটার রুবেল হসাইনের সম্পর্কে বোমা ফাটালো - কলেজেপরুয়া মেয়ে ঘরে থাকতে কাজের ছেলে রাখার ফল - স্বামী বিদেশে তাই প্রাইভেট টিচার এর সাথে অশ্লীল সম্পর্ক - পাগল শালীর সাথে নষ্টামি - রাতে ঢাকা শহরের দেহ ব্যাবসার রমরমা চিত্র দেখুন ইত্যাদি ইত্যাদি... উপরের সবগুলো ভিডিওই "ক্রাইম প্রোগ্রাম" । কিন্তু এগুলা টিভির চেয়ে ইউটিউবেই বেশি জনপ্রিয় । "কামোদ্দীপক" এমন সব শিরোনাম এখন শুধু ইউটিউব কিংবা এসব ভিডিওতে সীমাবদ্ধ নাই । ওদের "কালো হাত" ছড়িয়ে পড়েছে তথাকথিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগ